價格:免費
更新日期:2017-11-08
檔案大小:3.5M
目前版本:1.2.1
版本需求:Android 4.1 以上版本
官方網站:mailto:jusnamal@gmail.com
দামি প্রসাধনী ব্যবহার করতে করতে ত্বকের আরো ক্ষতি করে বসে আছেন? এতোকিছু করার পরেও ত্বক আর মসৃণ হয়ে ওঠে না। এখনই সব ফেলে দিয়ে সম্পূর্ণ নতুনভাবে আপনার ত্বকের পরিচর্যা করুন। আপনাকে এমন ১০টি খাবারের নাম বলে দেয়া হচ্ছে, যে খাবারগুলো আপনার ত্বকের মসৃণতা নিশ্চিত করবে। আসুন তাহলে জেনে নেই মসৃণ ত্বকের জন্য খেতে হবে যে ১০টি খাবার। তা করবে আপনা থেকেই। বেঁচে যাবে প্রসাধনের পিছনে ব্যয় করা আপনার টাকা। আসুন তাহলে জেনে নেই মসৃণ ত্বকের জন্য খেতে হবে যে ১০টি খাবার।
লাল মরিচ
সারাদিনে আপনার যতো ভিটামিন ‘সি’ দরকার তার সবই আছে এই লাল মরিচে। এটা আপনি যেমন কাঁচাও খেতে পারেন, তেমনি খেতে পারেন রান্না করেও। লাল মরিচে আছে ভিটামিন ‘বি৬’। তার ওপর এতে আছে ক্যারটিনয়েড, যা আপনার ত্বকের রক্ত সঞ্চালনকে বৃদ্ধি করবে। লাল মরিচ আপনার মুখের ব্রণের সাথে যুদ্ধ করবে। চাইলে এক টুকরো মরিচ আপনার ফ্রিজেও রেখে দিতে পারেন। তাহলে হালকা নাস্তা বা ভারি খাবারের সময়ও খেয়ে নেয়া যাবে। সুতরাং মরিচ খাওয়ার অভ্যাস করুন আর পান করুন মসৃণ ত্বক।
চকোলেট
নিখুঁত ত্বকের জন্য চকোলেট একটি উৎকৃষ্ট খাবার। চকোলেট ফ্যাটি এসিড ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। যা আপনার ত্বকের সজীবতা আনতে সাহায্য করবে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের রুক্ষতা কমায় এবং সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বককে বাঁচিয়ে রাখে। তাই এখন থেকে প্রতিদিন এক আউন্স করে চকোলেট খাওয়ার অভ্যাস করুন।
স্যামন মাছ
মানসিক চাপের সাথে যুদ্ধ করার জন্য স্যামন মাছ একটি কার্যকর খাবার। সারাদিনের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ‘ডি’ সরবরাহ করে স্যামন মাছ। আর ভিটামিন ‘ডি’ হৃদযন্ত্র, হাড়, কোলন ও ব্রেনের জন্য উপকারী। কোলন ক্যান্সারের বিরুদ্ধেও ভিটামিন ‘ডি’ সমানভাবে লড়াই করে। স্যামন মাছ আপনার চুলের জন্যও দারুণ উপকারী।
নারিকেল তেল
নারিকেল তেল ক্যালোরিতে পরিপূর্ণ। এটা লরিক এসিডও বহন করে যা এন্টিব্যাক্টেরিয়াল। এটা আপনাকে ভাইরাস, বিভিন্ন ইনফেকশন এবং ব্রণের হাত থেকে বাঁচাবে। নারিকেল তেলে আছে ফ্যাটি এসিড এবং ভিটামিন ‘ই’। যা আপনার ত্বককে রাখে আদ্র, নরম এবং বলিমুক্ত। নারিকেল তেল থাইরয়েডের জন্য সমানভাবে উপকারী। আর এটা তো প্রমাণিত যে এই তেল ওজন কমাতে সাহায্য করে।
সবুজ চা
সবুজ চা যদিও একটি পানীয় তবুও মনে রাখতে হবে এটি গাছ থেকেই আসে। প্রতিদিন এককাপ সবুজ চা আপনাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং এমিনো এসিড সরবরাহ করবে। যা আপনাকে রিলাক্স মুডে থাকতে সাহায্য করবে। চা যখন গরম করা হয়, তখন এটি ক্যাটচিন নামের সম্পূর্ণ ভিন্ন এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে। যেটি ক্যন্সার এবং প্রদাহের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। ভালো ফল পেতে দিনে ৩ কাপ সবুজ চা পান করুন।
পালং শাক
পালং শাক খাবারের মধ্যে অন্যতম স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার। এটি আপনাকে আয়রন, ক্লোরোফিল, ভিটামিন ‘ই’, ‘এ’, ‘সি’, প্রোটিন, ম্যাগনেশিয়াম সরবরাহ করবে। যা আপনার ত্বককে করবে উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর। ডায়েট করতেও পালং শাক আপনার খাবারের মেন্যুতে যোগ করতে পারেন।
বিভিন্ন প্রকার বীজ
সূর্যমুখীর বীজ, কুমড়ার বীজ ও শন বীজ মসৃণ ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। সূর্যমুখীর বীজ ও কুমড়ার বীজ দুটোই ভিটামিন ‘ই’, প্রোটিন, ম্যাগনেশিয়াম ও সেলেনিয়ামে পরিপূর্ণ। সেলেনিয়াম আপনার ত্বককে বলি হতে রক্ষা করবে। ভিটামিন ‘ই’ ত্বককে দিবে আদ্রতা আর ম্যাগনেশিয়াম আপনাকে মানসিক চাপ হতে স্বস্তি দিবে। সালাদের সাথে বীজ মিশিয়ে খেতে পারেন যা খাবারে দিবে দারুণ স্বাদ।
সেলারি (এক ধরণের শাক)
ত্বকের জন্য আরো একটি দরকারি খাবার হলো সেলারি। অনেকেই এটিকে খাবারের মধ্যে গণ্য করেন না। কিন্তু সেলারিতে আছে রক্ত সঞ্চালনের জাদুকরী ক্ষমতা। এটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। সাথে সাথে এটি মাইগ্রেনের ব্যথা এবং ক্যান্সারের বিরুদ্ধেও লড়াই চালিয়ে যায়। সেলারিতে আছে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক সোডিয়াম, পটাশিয়াম এবং পানি। যা আপনাকে ডায়রিয়া হতে রক্ষা করবে। আপনার প্রতিদিনের খাবারে যোগ করুন সেলারি। ভয় নেই, সেলারিতে খুব অল্পই ক্যালোরি আছে।
পেঁপে
পেঁপে একটি দারুণ ফল। পেঁপেতে এতো পরিমাণ পুষ্টিমাণ রয়েছে যা লিখে শেষ করা যাবে না। খুব অল্প ক্যালোরি সমৃদ্ধ এই ফলটি কোনো কোলেস্টরেল নেই। তাই পেঁপেকে আপনার ডায়েট তালিকায়ও যোগ করে নিতে পারেন। পেঁপেতে পাওয়া গেছে ভিটামিন ‘ই’, ‘সি’, এবং বেটা ক্যারোটেন। যা আপনার মুখের ব্রণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে। ভিটামিন ‘সি’ ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করবে।
গাঁজর
গাঁজর শুধু আপনার চোখের জন্যই নয় বরং ত্বকের জন্যও দারুণ উপকারি। ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ গাঁজর ত্বকের নিচের অতিরিক্ত কোষ গঠনে বাধা প্রদান করে। সকালে নাস্তায় গাঁজর রাখার অন্যতম যুক্তি হলো গাজরের ভিটামিন ‘এ’ ত্বকের ক্যান্সার কোষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। সুতরাং প্রতিদিন হাফ কাপ গাঁজর আপনার ত্বককে এনে দিতে পারে উজ্জ্বল সজীবতা।